দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দুটি গ্রুপের মধ্যে একটি বিশাল লড়াই

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মানবসভ্যতার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে ভয়াবহ এক যুদ্ধ। শুরু ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত এ যুদ্ধের সময়সীমা ধরা হলেও ১৯৩৯ সালের আগে এশিয়ায় সংঘটিত কয়েকটি সংঘর্ষকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অংশ হিসাবে গণ্য করা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দুটি গ্রুপের মধ্যে একটি বিশাল লড়াই

ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত যুদ্ধ


এই যুদ্ধে বিশ্বের সকল পরাশক্তি এবং বেশিরভাগ রাষ্ট্রই জড়িয়ে পড়ে। মিত্রশক্তি আর অক্ষশক্তি নামে দুটি বিপরীত সামরিক জোটের সৃষ্টি হয়। এই মহাযুদ্ধকে ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত যুদ্ধ বলে ধরা হয়। প্রায় ত্রিশটি দেশের ১০ কোটিরও বেশি সামরিক সদস্য এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। গণহত্যা ও প্রথম পারমানবিক বোমার প্রয়োগে ৫ থেকে ৮ কোটি মানুষ মৃত্যুবরণ করে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দুটি গ্রুপের মধ্যে একটি বিশাল লড়াই ছিল। একটি দীর্ঘ এবং উত্তেজনাপূর্ণ ২০ বছরের বিরতির পরে ঘটেছিল। যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমস্যাগুলির সাথে সংযুক্ত ছিল। এ যুদ্ধ সর্বকালের সবচেয়ে মারাত্মক এবং বৃহত্তম যুদ্ধ হিসাবে পরিচিত। ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সালে সংঘটিত এই যুদ্ধ ছিল ইতিহাসের একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং দুঃখজনক ঘটনা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তি ও মিত্রশক্তি


মিত্রশক্তির দেশগুলো অক্ষশক্তির আক্রমণের ভয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ১৯৪১ সালের পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সোভিয়েত ইউনিয়ন একত্রে বৃহৎ তিন নামে পরিচিত হয় এবং চীন মিলে মিত্রশক্তি গঠন করে। পরবর্তীতে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, কানাডা চেকোস্লাভিয়া, ইথিওপিয়া, গ্রীস, ভারত, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোলান্ড এবং যুগোশ্লোভিয়া এই জোটে যোগ দেয়।

অক্ষশক্তির প্রধান তিনটি রাষ্ট্র হল জার্মানি, ইটালি এবং জাপান। এই তিনটি দেশ ১৯৪০ সালে একটি সামরিক জোট গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে অক্ষশক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বৃহৎ রাষ্ট্রগুলির সাথে সাথে তাদের ইউরোপ, আফ্রিকা, পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত কলোনিগুলোও অক্ষশক্তির অংশ হয়ে যায়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারন


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারন নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। অনেকাংশে গ্রহণযোগ্য কারনটি হল যুদ্ধোত্তর সময়ে মিত্রশক্তির দেশ সমূহের মধ্যে তোষণ নীতির মাধ্যমে সমঝোতার ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায় যা নির্দেশক শক্তির ভূমিকা পালন করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি এবং জাপানের আধিপত্য ও সাম্রাজ্যবাদকে দায়ী করা হয়।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি তার সম্পদ, সম্মান এবং ক্ষমতার প্রায় সবটুকুই হারিয়ে বসে। এগুলি ফিরে পাওয়া এবং বিশ্বশক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করাই জার্মানির সাম্রাজ্যবাদী চিন্তার মূল কারন ছিল। পোলান্ড এবং ইউক্রেনের ভূমি নিয়ন্ত্রণে আনাও একটি উদ্দেশ্য ছিল। তাদের জাতীয় আকাংঙ্খা ছিল ভার্সাই চুক্তি হতে বেরিয়ে আসা এবং বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে সংগঠিত করা।

মিত্রশক্তির এক পক্ষ চুক্তি জার্মানিরা মেনে নিতে পারেনি। তাই তাদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এছাড়া বৃহৎ পরিসরে কারন ছিল ১৯৩৩ সালে হিটলার ও তার নাৎসি পার্টির আগ্রাসী বৈদেশিক নীতি। অন্যান্য কারনের মধ্যে ছিল ১৯২০ এর দশকে ইতালীয় ফ্যাসিবাদ এবং ১৯৩০ এর দশকে জাপান সাম্রাজ্যের চীন প্রজাতন্ত্রের আক্রমণ।

জাপান ও জার্মানির স্বৈরশাসককেরা এই সামরিক আগ্রাসনমুলক পদক্ষেপ নেয়ার পর অন্যান্য দেশগুলি সামরিক প্রতিরোধ শুরু করে। ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর জার্মানির নাৎসি বাহিনী কর্তৃক পোলান্ড আক্রমণের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয় এবং একই সালের ৩ সেপ্টেম্বর বৃটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দেয়।

১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র মিত্রশক্তির সাথে যোগ দেয়। মূলত জার্মানি এবং জাপান দুই অক্ষশক্তিই যুক্তরাষ্ট্রে আক্রমণ করার মাধ্যমে যুদ্ধ ডেকে আনে। অপরদিকে চীনের সাথে জাপানের ছিল পুরাতন শত্রুতা। ১৯৩০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল। ফলে চীনও মিত্রপক্ষে যোগ দেয়।

সোভিয়েত ফিনল্যান্ড যুদ্ধ


জার্মানি বনাম মিত্রপক্ষীয় যুদ্ধ চলাকালীন সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন ফিনল্যান্ড আক্রমণ করে শীতকালীন যুদ্ধের সূচনা করে। এর আগেই লিথুনিয়া, লাটভিয়া ও এস্তোনিয়ায় সৈন্য প্রবেশ করে ক্ষতিপূরণ সহ একটি অনুরূপ প্রস্তাবে ফিনল্যান্ড রাজি না হওয়ায় সোভিয়েত সৈন্য আক্রমণ করল। ফিন লোকবল কম হলেও দেশরক্ষায় মনোবল ছিল অনেক বেশি।

১৫ দিন পর অবশেষে তারা একটি ফাঁক তৈরি করতে পারল। ফলে যুদ্ধের ভাগ্য পরিস্কার হয়ে গেল। ১৯৪০ সালে ফিনল্যান্ড শান্তির জন্য আবেদন করল। সার্বভৌমত্ব রক্ষা পেলেও বেশকিছু এলাকা ছেড়ে দিতে হয় ফিনল্যান্ডকে। এ যুদ্ধে ২ লক্ষ ফিন. সৈন্যের মধ্যে ৭০ হাজার সৈন্য মারা যায়। সোভিয়েত শক্তি সম্পর্কে হিটলারের নিম্ন ধারনা তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে রাশিয়া আক্রমণের সময় কাজে আসে।

নরওয়ে ও ডেনমার্ক


নরওয়ে বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তার ভৌগলিক অবস্থানের জন্য। নরওয়ের বন্দর ও রেলপথ দিয়ে লোহা চালান যেত জার্মানিতে। প্রথমে হিটলার নরওয়েকে নিরপেক্ষ থাকতে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ওদিকে মিত্রপক্ষ নরওয়ের নারভিক বন্দরের সমুদ্রে মাইন পেতে রাখার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেলে হিটলার নরওয়ে অভিযানের নির্দেশ দেয়।

একদিকে গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলি দখল করে নিল জার্মান বাহিনী। অন্যদিকে বিমান বন্দরগুলি দখল করে শহরে প্রবেশ করল জার্মান সেনা। ডেনমার্ক অত্মসমর্প করলেও নরওয়ে লড়াই করতে লাগল। ১৪ এপ্রিল মিত্রবাহিনী নামলো নরওয়েতে। পাঁচগুন বেশি সৈন্য বাহিনীর সাথে জার্মানরা লড়াই চালিয়ে শেষ পর্যন্ত সৈন্যদের ফিরিয়ে নিতে হল নরওয়ে থেকে।

ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ ১০ মে ১৯৪০ সালে একসাথে চারটি দেশ আক্রমণ করে ভূয়া যুদ্ধের ইতি টানল জার্মানি। ১৪ মে আরদেন থেকে জার্মান বাহিনী বেরিয়ে এসে দিশেহারা মিত্র সেনাদের ছিন্নভিন্ন করে অগ্রসর হতে থাকল। তড়িঘড়ি করে ফরাসি ও বৃটিশ সেনা পিছু হটতে শুরু করল। নেদারল্যান্ড ও বেলজিয়ামের পতন হলো।

১০ জুন ইতালিও যুদ্ধ ঘোষণা করে ২০ জুন আক্রমণ শুরু করে। ১৪ জুন প্যারিসের পতন ঘটল। ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী রেনো পদত্যাগ করলেন ও তার বদলে এলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নায়ক পেঁত্যা। ২২ জুন জার্মান-ফরাসি এবং ২৪ জুন জার্মান ইতালির মধ্যে শান্তিচুক্তি হয়। ফ্রান্সের বেশিরভাগ জায়গা জার্মানি নিয়ে নেয়। অল্প কিছু জায়গা নিয়ে পেঁত্যা একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করেন।

বাল্টিক অঞ্চল


পরবর্তীতে সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণের জন্য রুমানিয়ার একটি তেলের খনি হিটলারের প্রয়োজন ছিল। রুমানিয়ার সাথে জার্মানির তেল-অস্ত্র চুক্তি হয়। রুমানিয়ার জনগণ এতে আন্দোলন শুরু করায় রাজা ছেলের কাছে মুকুট হস্তান্তর করেন এবং জার্মান সেনা আহ্বান করলেন। বুখারেস্টে জার্মান সৈন্য অবতরণ করে। বিরক্ত হয়ে মুসোলিনি আলবেনিয়া থেকে গ্রিস আক্রমণ করলেন।

গ্রিকরা শুধু প্রতিহত না করে আলবেনিয়ার এক তৃতীয়াংশ দখল করে নিল। উপরন্ত ক্রীটে বৃটিশ সৈন্য নামল। তুরস্কও সৈন্য সমাবেশ করে রাখল। বুলগেরিয়া এবং যুগোস্লাভিয়াও বেঁকে বসল। হিটলার দ্রুত হাঙ্গেরি, রুমানিয়া ও স্লোভাকিয়াকে অক্ষচুক্তিতে টেনে নিল। বুলগেরিয়ায় জার্মান সৈন্য নামল এবং যুগোস্লাভিয়ার যুবরাজ পল অক্ষে যোগ দিলেন।

আকাশ থেকে বোমাবর্ষণ এবং বুলগেরিয়া ও অস্ট্রিয়া দিয়ে সৈন্য পাঠিয়ে জার্মানি গ্রিস ও যুগোস্লাভিয়া আক্রমণ করল। গ্রিস ও যুগোস্লাভিয়া আত্মসমর্পণ করে। এরপর ক্রীট দখল করা হয়। যুগোস্লাভিয়াকে খন্ডবিখন্ড করে অক্ষশক্তিরা ভাগ করে নেয়। তবে পুরো যুদ্ধ জুড়ে জোসেফ টিটোর নেতৃত্বে কমিউনিস্ট দল গেরিলা আক্রমণ চালিয়ে যায়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আরও কিছু কারন


ক. ভার্সাই চুক্তি : এই চুক্তিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। এই অপমান অতি জাতীয়তাবাদের ইন্ধন হিসাবে কাজ করেছিল। এটিকে সংঘাতের জন্য দায়ী করা হয়।

খ. ফ্যাসিবাদ ও নাৎসিবাদের বৃদ্ধি : বর্ণবাদ, ভার্সাই চুক্তি বাতিল এবং জার্মান ভূখণ্ডের বৃদ্ধি সবই হিটলারের নাৎসি পার্টি দ্বারা সমর্থিত ছিল। ১৯৩৩ সালে হিটলার জার্মান চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন এবং একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।

গ. তুষ্টি নীতি : যুদ্ধ প্রতিরোধ করার জন্য ফ্রান্স এবং বৃটেনের মতো দেশগুলি তুষ্ট করার চেষ্টা করেছিল, হিটলারের আক্রমনাত্মক কার্যকলাপগুলিকে অনিয়ন্ত্রিত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। যেমন মিউনিখ চুক্তি একটি উদাহরণ।

ঘ. লিগ অফ নেশনস এর ব্যর্থতা : লিগ অফ নেশনস যুদ্ধ এড়াতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কিন্তু সমস্ত জাতি যোগ না দেয়ায় ব্যর্থ হয় এবং আগ্রাসনের অবসান ঘটাতে সামরিক শক্তির অভাব ছিল।

ঙ. ডিপ্রেশন : ১৯৩০ এর দশকে ইউরোপ ও এশিয়ায় বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের ফলে সর্বগ্রাসী এবং সাম্রাজ্যবাদী সরকারগুলি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বিশেষ করে জার্মানি, ইতালি এবং স্পেনে রাজনৈতিক ক্ষমতা স্থানান্তরিত হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলাফল


জাতিসংঘ : ভবিষ্যতে শত্রুতা এড়ানোর জন্য জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে সহযোগিতা করে।

প্রযুক্তিগত অগ্রগতি : এ যুদ্ধ প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করেছে। কম্পিউটার, জেট ইঞ্জিন এবং পারমাণবিক শক্তির মতো উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।

স্নায়ু যুদ্ধ : দুই পরাশক্তি আমেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন এর মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়। যুদ্ধে যাওয়ার পরিবর্তে বহু বছর ধরে বিশ্ব রাজনীতিকে প্রভাবিত করার প্রতিদ্বন্দিতায় লিপ্ত হয়।

ধ্বংস : নগর সভ্যতা এবং অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়। যা হারিয়ে গেছে তা পুনর্গঠন করা সম্প্রদায়গুলিকে গুরুতর মানসিক এবং শারীরিক দাগ দিয়ে ফেলেছে।

ধ্বংসপ্রাপ্ত জীবন : যুদ্ধে বিভিন্ন দেশের অসংখ্য নিরীহ নাগরিক এবং সৈন্যদের প্রাণহানি ঘটেছে। পরিবারগুলি ভেঙ্গে পড়েছিল। বিশ্ব সম্প্রদায় বিষ্ময়কর ক্ষতির জন্য শোক প্রকাশ করে।

হলোকাস্ট : ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা ছিল হলোকাস্ট। হিটলারের নাৎসি শাসনের সময় প্রায় ৬ মিলিয়ন ইহুদিকে হত্যা করা হয়েছিল। মানব বর্বরতার ভয়াবহতা এখনো এই হলোকাস্টের দ্বারা স্পষ্টভাবে আলোকিত করা হয়েছে।

মানচিত্রের পরিবর্তন : যুদ্ধের কারনে পৃথিবীর মানচিত্র পরিবর্তিত হয়ে যায়। পুরানো সাম্রাজ্যের পতনের সাথে সাথে নতুন জাতি গড়ে ওঠে।

নারীর ভূমিকা : এ যুদ্ধের ফলে নারীর ভূমিকার প্রসার ঘটায়। এর মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে নারী অধিকারের আন্দোলন।

পুনর্নির্মাণ : যুদ্ধের পরে জাতিগুলির পুনর্নির্মাণের কঠিন বোঝা চেপে বসে। অর্থনীতি, অবকাঠামো এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যুদ্ধ পরবর্তী পুনর্গঠনের ফলাফল।

এ যুদ্ধে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রয়োগ ছিল পারমানবিক বোমা। এর ধ্বংসলীলার মধ্য দিয়েই জার্মানি ও জাপানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে ১৯৪৫ সালে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। সমগ্র ইউরোপ দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে ছোট ছোট রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পশ্চিম ইউরোপের দেশ সমূহ নিয়ে NATO গঠিত হয়। এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url