বদর যুদ্ধ ছিল মুসলিম রাষ্ট্রের ভিত্তি প্রতিষ্ঠার মাইলফলক
বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ। মদিনার মুসলিম ও মক্কার কুরাইশ বাহিনীর মধ্যে ১৩ মার্চ ৬২৪ খৃস্টাব্দে (২য় হিজরী ১৭ রমজান) সংঘটিত হয়। এটি ইসলামের প্রথম বড় যুদ্ধ এবং এতে মুসলিমদের বিজয় হওয়ায় তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এ যুদ্ধকে একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে ধরা হয়।
বদর যুদ্ধ ছিল ইসলাম ও মুসলিমদের অস্তিত্বের লড়াই
বদরের যুদ্ধ বা কখনো বদরের অভিযান আরবি গাজওয়াহু বদর যাকে কুরআন এবং মুসলমানদের দ্বারা মানদণ্ডের দিন (আরবি: ইয়াওমুল ফুরকান) নামেও উল্লেখ করা হয়। মদিনার অদুরে একটি কূপের নাম ছিল বদর। সেই সূত্রে কুপের নিকটবর্তী অঞ্চলও একই নামে পরিচিতি পায়। আর এখানেই মুহাম্মদ সা. এর নেতৃত্বে সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ।
যুদ্ধের পূর্বের বছরে মুসলিম ও কুরাইশদের মধ্যে বেশ কিছু খন্ডযুদ্ধ হয়। বদর যুদ্ধে সংঘটিত মুসলিমরা মক্কার সৈনিকদের সারি ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম হন। মুসলিমদের প্রধান প্রতিপক্ষ আবু জাহল সহ অনেকে নিহত হয়। এ যুদ্ধে মুসলিমদের বিজয়ের ফলে আরবে নতুন শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়। নেতা হিসাবে মুহাম্মদ সা. এর অবস্থান দৃঢ় হয়।
এটি কেবল মুসলমানদের প্রথম সামরিক বিজয়ই নয়, বরং আত্মত্যাগ, বিশ্বাস ও কৌশলের এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ ছিল ইসলাম ও মুসলিমদের অস্তিত্বের লড়াই। এটি ছিল সত্য ও মিথ্যা, হক ও বাতিল এবং মুসলিম ও কাফেরদের মধ্যকার যুদ্ধ। এর ফলে ইসলামে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসে। পবিত্র কুরআনের দুটি সুরায় বদর যুদ্ধের বর্ণনা আছে।
মদিনা থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে বদর প্রান্তর। ইসলামের ইতিহাসে যুগান্তকারী এ যুদ্ধে সৈন্য সংখ্যা কম হলেও এর গুরুত্ব ছিল অপরিসীম যা মুসলমানদের চেতনাকে উদ্দীপ্ত করে। শক্তি ও মর্যাদা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়। মক্কার কুরাইশদের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করার শক্তি অর্জন করে। এ যুদ্ধ ছিল মদিনায় মুসলিম রাষ্ট্রের রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠার মাইলফলক।
‘বদর’ স্থানটির নামকরণের ইতিহাস
বদর প্রান্তরটি ডিম্বাকৃতির সুবিশাল এক এলাকা যার প্রস্থ প্রায় সাড়ে চার মাইল। স্থানটি ছিল ইয়েমেন থেকে সিরিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত বাণিজ্য পথের কেন্দ্রবিন্দু। মক্কা ও মদিনা থেকে আসা দুটি পথ এখানে মিলিত হয়ে এ স্থানটিকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। লোহিত সাগরের নিকটবর্তী হওয়ায় এই স্থানটি আরও কৌশলগত গুরুত্ব বহন করে।
স্থানটির নামকরণের পেছনে একটি জনপ্রিয় ধারনা হল, বদর বিন ইয়াখলাদ নামে এক ব্যক্তি এখানে একটি কূপ খনন করেন। কূপটির পানি ছিল অত্যন্ত স্বচ্ছ। কথিত আছে এখানে চাঁদের প্রতিফলন দেখা যেত। আরবি ভাষায় চাঁদকে বদর বলা হয়। তাই এ স্থানের নাম হয় বদর। প্রাক ইসলামি যুগে এখানে প্রতি বছর একটি বড় উৎসবও অনুষ্ঠিত হত।
ঘটনার সূত্রপাত
মুসলমানদের অগ্রগতি ভাবিয়ে তোলে মক্কার কাফেরদের। তাই মুসলমানদের চিরতরে নিশ্চিহ্ন করতে অর্থ জোগান ও অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র কিনতে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে সিরিয়া গিয়েছিল মক্কার একটি বাণিজ্য কাফেলা। মক্কার প্রতিটি ঘর থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ১ হাজার মালবাহী উটের একটি বাণিজ্য বহর গঠন করা হয়। পাহারায় ছিল ৪০ জন সশস্ত্র অশ্বারোহী যোদ্ধা।
মুসলিমরা বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিল। তাই যখন তারা সিরিয়া থেকে বাণিজ্য শেষে বিপুল অর্থ ও সমরাস্ত্র নিয়ে ঘরে ফিরছিল, আত্মরক্ষার্থে তাদের গতিরোধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া আর কোন পথ খোলা ছিল না মুসলিমদের। আবু সুফিয়ান টের পেয়ে দ্রুত সাহায্যের জন্য মক্কায় খবর পাঠায়। সঙ্গে সঙ্গে আবু জাহেলের নেতৃত্বে ১ হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা বের হয় মদীনা আক্রমণে।
মুসলিমদের উদ্দেশ্য ছিল শুধু কাফেলাকে আটকানো। যুদ্ধের কোন প্রস্তুতি ছিল না। এ ছাড়াও যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার পেছনে নাখলার খণ্ডযুদ্ধ, কাফেরদের রণপ্রস্তুতি, আবু সুফিয়ানের অপপ্রচার, যুদ্ধ প্রস্তুতির জন্য ওহি লাভ ও মক্কাবাসীর ক্ষোভ ইত্যাদি প্রত্যক্ষ কারন হিসাবে ধরা হয়। আর পরোক্ষ কারন ছিল কুরাইশদের হিংসা, বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা এবং মুহাম্মদ সা. কে নিশ্চিহ্ন করা।
বদর যুদ্ধের পেছনের কারণ
মক্কার নেতৃস্থানীয়রা মুসলমানদের মদিনায় হিজরতের আগে থেকেই বিরোধিতা করেছিলেন। বদর যুদ্ধের পেছনে একাধিক কারন কাজ করেছিল। হিজরি দ্বিতীয় সনে মক্কার এক গোত্র প্রধান আমর বিন আল-হাদরামি দুর্ঘটনাবশত মুসলমানদের হাতে নিহত হন। রাসুল সা. এই হত্যার জন্য ক্ষতিপূরণ দিলেও মক্কার কুরাইশ নেতারা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন। এ ঘটনাই যুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি করে।
এরপর শাবান মাসে আরেকটি ঘটনা ঘটে। সিরিয়া থেকে মক্কায় আসা কুরাইশদের একটি বাণিজ্যিক কাফেলা সম্পর্কে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে মুসলমানরা এ কাফেলাকে আক্রমণ করতে চায়। কাফেলার নেতা আবু সুফিয়ান সাহায্যের জন্য মক্কায় খবর পাঠালে একটি বড় দল মদিনার দিকে অগ্রসর হয়। মক্কায় নিরাপদে পৌঁছালেও তারা বদর প্রান্তে প্রায় এক হাজার সৈন্যের সমাবেশ ঘটায়।
সময় কম থাকায় বড়সড় প্রস্তুতির সুযোগ হয়নি। মাত্র ৩১৩ জন সাহাবি ২টি ঘোড়া ও ৭০টি উট সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। অস্ত্র হিসাবে ছিল ৬ টি লৌহবর্ম ও ৮টি তোলোয়ার আর কিছু খেজুরের ঢাল। অপরপক্ষে আবু জাহেল এর বাহিনীতে ছিল ১০০ ঘোড়া ও ৭০০ উট। অস্ত্র হিসাবে ছিল ৬০০ লৌহবর্ম ও হাতে ছিল অসংখ্য তীর আর তালোয়ার।
এদিকে রাসুল সা. এর কাছে কোরাইশদের বের হওয়ার সংবাদ পৌঁছলে বিষয়টি তাঁকে ভাবিয়ে তোলে। তিনি সাহাবাদের নিয়ে পরামর্শে বসেন। হযরত আবুবকর ও ওমর রা. যুদ্ধের পক্ষে মত তুলে ধরেন। কিন্তু মুহাম্মদ সা. এর মন ভরে না। তিনি আরও পরামর্শ চান। এরপর সাদ বিন মুয়াজ রা. উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আপনি সম্ভবত আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
মুয়াজ বলেন, আল্লাহর শপথ করে বলছি, আপনি যদি আমাদের ঘোড়া ছুটিয়ে সমুদ্রে ঝাঁপ দিতে বলেন, আমরা তাই করব। যেখানে যেতে বলেন সেখানেই যাব। এরপর আরেক সাহাবি জ্বালময়ী ভাষণ দিলেন। তিনি বলেন, আমরা আপনার ডানে, বামে,সামনে ও পেছনে থেকেই যুদ্ধ করব। রাসুল সা. এর চেহারায় খুশির আভা ফুটে ওঠে। তিনি বলেন, তাহলে এবার আগে বাড়ো এবং সুসংবাদ গ্রহন করো।
চলতে চলতে বদর প্রান্তরে এসে দুই দলের সাক্ষাত হয়। কয়েকদিনের ধারাবাহিক রোজা, সফর, ক্ষুধা-তৃষ্ণার যন্ত্রণায় সাহাবিদের মানষিক অবস্থা খুবই নাজুক। যেখানে তারা স্থান নিয়েছিল সেটাও বালুকাময়। অপরদিকে কুরাইশদের স্থানটি ছিল সবুজ ভূমি। একসময় শুরু হল রহমতের বৃষ্টি। সাহাবিরা বৃষ্টিতে ভিজে ও পানি পান করে নতুন প্রাণ পায়। রাতে ভাল ঘুম হয়। বালু ভিজে শক্ত হয়। আর কুরাইশদের বৃষ্টির কারনে মাটিতে কাদা জমে এবং রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
নবী করিম সা. সারারাত জেগে নামাজ পড়েন আর ফজর নামাজ পর সাহাবিদের নিয়ে দোয়া করেন। যুদ্ধ শুরুর আগেও তিনি দোয়ায় মশগুল ছিলেন। আর বলছিলেন, ‘হে আল্লাহ ! আপনি যে ওয়াদা করেছিলেন আজ তা কবুল করেন। ওগো দয়াময়, আজ যদি ইসলামের এই ছোট কাফেলাকে ধ্বংস করেন তাহলে পৃথিবীতে আর কোনদিন আপনার ইবাদত হবে না।’
আল্লাহ তায়ালা তাদের দোয়া কবুল করে অহি পাঠান, ‘স্মরণ করো সে সময়ের কথা, যখন তোমরা ফরিয়াদ করতে আরম্ভ করেছিলে স্বীয় রবের কাছে তখন তিনি তোমাদের ফরিয়াদ কবুল করে বলেন, আমি তোমাদের সাহায্য করব ধারাবাহিকভাবে আগত এক হাজার ফেরেশতার মাধ্যমে।’-(সুরা আনফাল :৯)। ১৭ রমজান, শুক্রবার সকালে শুরু হয় যুদ্ধ।
ফেরেশতারা আসমান থেকে দলে দলে নেমে আসে। শয়তান তার দল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরাজিত হয় দুশমন। বিজয় লাভ করে মুসলিমরা। কাফেরদের ৭০ জন বন্দী হয় এবং ৭০ জন নিহত হয়। আবু জাহেল, উতবা ও শায়বার মতো মক্কার বড় বড় কাফের নেতারা প্রাণ হারায়। মুসলিমদের ১৪ জন শহীদ হন। এ বিজয়ে মুসলিমদের মনোবল বেড়ে যায় আর কাফেররা ভেঙ্গে পড়ে।
বদর যুদ্ধের গুরুত্ব
বদর যুদ্ধের গুরুত্ব শুধু সামরিক বিজয়ে সীমাবদ্ধ ছিল না। এর রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। মক্কার কুরাইশদের পরাজয় তাদের আত্মবিশ্বাস ও মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করে। যুদ্ধের পর বাণিজ্য পথ ব্যবহারের ঝুঁকি বেড়ে যায় যা মক্কার অর্থনীতিকে ব্যাপক প্রভাবিত করে। অন্যান্য গোত্রের কাছে কুরাইশদের গুরুত্ব কমে যায়। বদর যুদ্ধের গুরুত্বগুলি নিম্নরূপ :-
- বদর যুদ্ধ ছিল মুসলমানদের সাথে মুশরিকদের মুখোমুখি প্রথম সশস্ত্র সংঘর্ষ।
- হক ও বাতিলের মধ্যে টিকে থাকা না থাকার ফয়সালাকারী এক অসম যুদ্ধ।
- নেতা হিসাবে নবী সা. এর উত্থানে বদরের গুরুত্ব অপরিসীম। এ বিজয়ের ফলে অনেকে ইসলামের ছায়াতলে আসে।
- বদরের যুদ্ধ ছিল মক্কা বিজয়ের প্রথম ধাপ এবং এ সময়েই কেবলা মক্কার দিকে ঘুরানো হয়।
- মহান আল্লাহ এই দিনকে ‘ইয়াওমুল ফুরকান’ বা কুফর ও ইসলামের মধ্যে ফয়সালাকারী দিন হিসাবে অভিহিত করেছেন।
- এ যুদ্ধের বিস্তারিত বর্ণনা সুরা ইমরান ও আনফাল ছাড়াও অনেক সুরাতে স্থান করে নিয়েছে।
- আল্লাহ স্মরণীয় হিসাবে এ দিনটিকে উল্লেখ করে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেছেন বদরের যুদ্ধে। অথচ তোমরা ছিলে দুর্বল।
- বদর যুদ্ধে অংশগ্রহনকারীদের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেছে। -আল হাদীস।
- এ যুদ্ধে মুসলিমদের বিজয়ে মক্কার কুরাইশ, মদীনার ইহুদী ও মুনাফিকরা এবং বেদুঈনরা দারণভাবে ক্ষুব্ধ হয়।
- এ যুদ্ধে ঈহুদী সমৃদ্ধশালী গোত্র বনু ক্কাইনুক্কা ভীষণভাবে ভীত ও ক্রুদ্ধ হয়। তাদের ষড়যন্ত্র তুঙ্গে উঠলে মদিনা থেকে থেকে বহিস্কার করে দেয়া হয়।
বদর যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা
এক. দোয়ায় শিথিলতা প্রদর্শন না করা : হাদিস অনুযায়ী দোয়া হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কঠিন বিপদে-আপদে জীবনের চরম মুহূর্তে দোয়ার ব্যাপারে শিথিলতা প্রদর্শ না করতে বদর যুদ্ধ আমাদেরকে শিক্ষা দেয়। সে দিনের দোয়া শুধু কবুলই হয়নি, বরং সে দোয়ার মহিমায় আজ আমরা পরিপূর্ণ ইসলামের দর্শন পেয়েছি।
দুই : সকল কাজে আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাস ও ভরসা রাখা : দুনিয়া ও আখিরাতে সকল কাজে, সকল বালা-মুসিবতে একমাত্র আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা হচ্ছে ইসলাম ও ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। বদর যুদ্ধ থেকে আমরা এ শিক্ষাই পেয়ে থাকি। বদর যুদ্ধ প্রমাণ করে সৈন্য সংখ্যা ও সরজ্ঞাম মাপকাঠি নয়। বরং আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস ও নির্ভরতা বিজয়ের মূল অস্ত্র।
তিন : সংখ্যাধিক্য বিজয়ের শর্ত নয় : সংখ্যায় কম হওয়া সত্বেও বদর প্রান্তে মুসলমানরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। এটি নিঃসন্দেহে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যের বিজয়। আল্লাহর ওপর ভরসা করে সততার সাথে এগিয়ে যাওয়ার কারনে মুলত: এ বিজয় হয়।
চার : ঐক্যের উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন : ঐক্য হচ্ছে সফলতা ও বিজয়ের অন্যতম ভিত্তি। মুসলমানদের ছিল ইস্পাত কঠিন ঐক্য আর কাফেরদের অবস্থা ছিল ভঙ্গুর। বদর যুদ্ধকে স্মরণ করে বর্তমান সময়ে যত প্রকার অনৈক্য, অনাচার, অবিচার ও বৈষম্য আছে তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করা সময়ের অনিবার্য দাবি।
এই যুদ্ধ মুসলিম সম্প্রদায়ের আত্মবিশ্বাস ও ঐক্যকে শক্তিশালী করে। এটি ইসলামের প্রসার ও মদিনার মুসলিম রাষ্ট্রের ভিত্তি মজবুত করে। বদর যুদ্ধ শুধু একটি যুদ্ধ নয়, এটি ছিল ইতিহাসের বাক বদলে দেয়া এক ঐতিহাসিক ঘটনা, যা বিশ্ব ইতিহাসে ইসলামের অবস্থানকে চিরস্থায়ী করে দিয়েছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url